দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার পর ফের মাঠে গড়াল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যা পরিচিত মিনি বিশ্বকাপ হিসেবে। এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান, যেখানে আইসিসির কোনো ইভেন্ট তারা আয়োজন করছে ২৯ বছর পর। তাই দেশটির ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উত্তেজনা ছিল চরমে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক পাকিস্তান। ব্যাট হাতে কিউইদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন উইল ইয়ং ও টম লাথাম। দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে পঞ্চমবারের মতো দেখা মিললো এক ইনিংসে দুটি শতকের নজির। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা। পাকিস্তানের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ৩২১ রান।
শুরুতেই টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুতে দেখেশুনেই খেলছিলেন দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। দুজনের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৯ রান। অষ্টম ওভারে আবরার আহমেদের বলটা যেন বুঝে উঠতে পারলেন না কনওয়ে। বোল্ড হয়ে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১০ রান।
স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই কেইন উইলিয়ামসনের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ২ বলে ১ রান করে নাসিম শাহ’র বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ড্যারিল মিচেল থিতু হয়েও লম্বা করতে পারেননি তার ইনিংস। ২৪ বল খেলে মাত্র ১০ রান করেই আউট হয়েছেন তিনি। হ্যারিস রউফের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে শাহীন আফ্রিদির হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটার।
সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার উইল ইয়ং। নাসিম শাহ’র বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। অনেক খানি দৌঁড়ে এসে বলটি তালুবন্দি করেন বদলি ফিল্ডার ফাহিম আশরাফ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৩ বলে ১০৭ রান।
এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে এগোতে থাকেন টম লাথাম। ইয়ংয়ের পরে ৯৫ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দেখা পান লাথাম। সেঞ্চুরির পথে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।
ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে আউট হন ফিলিপস। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৬১ রান। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৪ বলে ১২৫ রান। লাথাম অপরাজিত থাকেন ১১৮ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে নাসিম শাহ হ্যারিস রউফ নেন ২টি করে উইকেট। আবরারের শিকার ১ উইকেট।