সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজের বাগদান নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ৫৫ বছর বয়সী সোহেল তাজকে নিয়ে একটি তথ্য ছড়িয়েছে যে, তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন।
এই আলোচনা মূলত ২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়, যখন সোহেল তাজ তার ইনস্পায়ার ফিটনেস সেন্টারে হাস্যোজ্জ্বলভাবে হাঁটু গেড়ে বসে শাহনাজ পারভীন শিমুকে আংটি পরিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন। সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেকেই এটি সোহেল তাজের সপ্তম বিয়ে হিসেবে উল্লেখ করতে শুরু করেন।
এই বিষয়ে সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার পোস্টটি কিছুটা আক্রমণাত্মক tone এ ছিল, যেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে মন্তব্য করতে না চাওয়ার কথা জানান। তিনি লেখেন:
‘অনেকেই আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। আমি এই বিষয়ে কিছু বলবো না, কারণ এটি সম্পূর্ণ আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে, আমি দুটি কমেন্ট শেয়ার করছি, সেগুলো থেকে আপনারাই বিচার করে নিন কোনটি সঠিক এবং কোনটি মিথ্যা।’
এছাড়া, তিনি বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং কিছু শ্রেণির মানুষকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন:
‘গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতনকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর বা মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সোহেল তাজ আরও লেখেন:
‘আমি আপনাদের চিনি এবং নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই।’
তিনি এক পর্যায়ে বলেন: ‘আমি আওয়ামী লীগের নষ্ট, পচা নীতি বা আদর্শবিচ্যুত লুটেরা, খুনি, গুম, নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো, অনুগ্রহ করে আমার ফেসবুক পেজটি আনফলো করুন। নিজেদের বিবেককে জাগিয়ে আত্মসমালোচনা ও অনুশোচনার পথে চলুন।’